HTMLy

Just another HTMLy blog

আগামীতে আশার বাণী শুনতে চাই। কে পারবে শুনাতে?

- Posted in facebook-status by

আগামীতে আশার বাণী শুনতে চাই। কে পারবে শুনাতে?

প্রথমে ৩টি বিষয় একদম ক্লিয়ার - ১। রেমিট্যান্সে হু হু করে বাড়বে, তার আশা না করাই ভালো, ২। রফতানি হু হু করে বাড়বে তার আশা না করাই ভালো, ৩। জিনিসিপত্র, তেলের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের আয় কমবে, মানুষের আয় কমলে রাষ্ট্রের আয় বাড়ার সম্ভাবনা কম।

সাথে আছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি, প্রায় ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার। এর সাথে আবার জাপা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ঋণ আছে ১৬ লাখ কোটি টাকা। যা ডলারের রেইট ১০% বাড়লে শুধু আসলই ১০% বেড়ে যাবে। সুদাসলে এই টাকা কোথায় দাঁড়াবে আমরা জানি না।

নাগরিক হিসাবে পরিষ্কার বুঝতেছি, আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি - মানুষের এবং সাথে সাথে রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের বিপুল ব্যয়ের ঘাটতি, সাথে বিপুল ঋণের কিস্তি।

চাপ একদম পরিষ্কার। এখন দেখি, চাপ কীভাবে মোকাবেলা করবো আমরা তা কতটা পরিষ্কার?

নাগরিক হিসাবে যা বুঝতেছি, এ বছরের বাজেটের খরচ চালাতেই সরকার চাপে পড়েছে।

সেই চাপ পড়ছে মানুষের উপর। এবং এবারের চাপ মানুষ নিতে পারবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন। ইতিহাসে এত মূল্য বৃদ্ধি নাকি কখনোই করা হয় নি।

এখন আইএমএফ এর ঋণ আনা মানে বিশাল ঋণের পরিমাণ আরও বিশাল হওয়া।

সেই ঋণ নিয়ে আপাতত চাপ সামলানো যাবে নাকি চাপ বাড়বে? জ্বালানী, তেল, গ্যাস এসবের দাম যদি বাড়তেই থাকে - তাহলে নাগরিকদের উপর চাপ বাড়বে দুই ভাবে -

১। তার খরচ বাড়বে, ২। মাথা পিছু ঋণ বাড়বে যা এই নাগরিকদের যেভাবেই হোক শোধ করতে হবে!

আমরা কি ঋণ নিয়ে এই চাপ সামলাতে পারবো? আগামী বছরের খরচ চালাতে আবারও কি আরও ঋণ করতে হবে?

সরকারের কাছে বিনয়ের সাথে আগামী ২ বছরে অর্থনীতির আয় ব্যয়ের Roadmap পরিষ্কারভাবে দেখতে চাই।

পরিস্থিতি কি আরও কঠিন হবে, নাকি এমনই চলবে নাকি এর চেয়েও চাপে পড়বে - এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সরকারের রোডম্যাপ থেকে বুঝতে পারা যাবে।

আপাতত আয় অনুযায়ী চলতে পারতেছি না, সরকার যদি Roadmap দেয়, তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে - আমার এবং কোটি কোটি নাগরিকদের।

আপাতত কোটি কোটি নাগরিকদের মতো আমিও জানি না, সামনে কী হবে। একমাত্র সরকারই আমাদের তথ্য দিয়ে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।